আস সালামু আলায়কুম, কি অবস্থা সবার? আমার এই পোস্ট টা লিখার মোটিভেশন টা আসলে অনেক দিন আগে থেকেই এসেছিলো, যখন UAP CSE Researchers Hub নামে গ্রুপ টা ওপেন করলাম, তখন অনেকেই জিজ্ঞেস করত কিছু ব্যাপার
- ভাই থিসিস কি?
- ভাই প্রোজেক্ট আর থিসিস এর তফাত কি?
- ভাই রিসার্চ কিভাবে করে?
- ভাই আমি তো থিসিস পেলাম না, আমার প্রোজেক্ট করতে হইতেসে, আমার জীবন তো শেষ ভাই?
- ভাই থিসিস কি?
- ভাই প্রোজেক্ট আর থিসিস এর তফাত কি?
- ভাই রিসার্চ কিভাবে করে?
- ভাই আমি তো থিসিস পেলাম না, আমার প্রোজেক্ট করতে হইতেসে, আমার জীবন তো শেষ ভাই?
- ভাই থিসিস কি?
- ভাই প্রোজেক্ট আর থিসিস এর তফাত কি?
- ভাই রিসার্চ কিভাবে করে?
- ভাই আমি তো থিসিস পেলাম না, আমার প্রোজেক্ট করতে হইতেসে, আমার জীবন তো শেষ ভাই?
- ভাই থিসিস কি?
- ভাই প্রোজেক্ট আর থিসিস এর তফাত কি?
- ভাই রিসার্চ কিভাবে করে?
- ভাই আমি তো থিসিস পেলাম না, আমার প্রোজেক্ট করতে হইতেসে, আমার জীবন তো শেষ ভাই?
- ভাই থিসিস কি?
- ভাই প্রোজেক্ট আর থিসিস এর তফাত কি?
- ভাই রিসার্চ কিভাবে করে?
- ভাই আমি তো থিসিস পেলাম না, আমার প্রোজেক্ট করতে হইতেসে, আমার জীবন তো শেষ ভাই?
- ভাই থিসিস কি?
- ভাই প্রোজেক্ট আর থিসিস এর তফাত কি?
- ভাই রিসার্চ কিভাবে করে?
- ভাই আমি তো থিসিস পেলাম না, আমার প্রোজেক্ট করতে হইতেসে, আমার জীবন তো শেষ ভাই?
- ভাই থিসিস কি?
- ভাই প্রোজেক্ট আর থিসিস এর তফাত কি?
- ভাই রিসার্চ কিভাবে করে?
- ভাই আমি তো থিসিস পেলাম না, আমার প্রোজেক্ট করতে হইতেসে, আমার জীবন তো শেষ ভাই?
- ভাই থিসিস কি?
- ভাই প্রোজেক্ট আর থিসিস এর তফাত কি?
- ভাই রিসার্চ কিভাবে করে?
- ভাই আমি তো থিসিস পেলাম না, আমার প্রোজেক্ট করতে হইতেসে, আমার জীবন তো শেষ ভাই?
- ভাই থিসিস কি?
- ভাই প্রোজেক্ট আর থিসিস এর তফাত কি?
- ভাই রিসার্চ কিভাবে করে?
- ভাই আমি তো থিসিস পেলাম না, আমার প্রোজেক্ট করতে হইতেসে, আমার জীবন তো শেষ ভাই?
- ভাই থিসিস কি?
- ভাই প্রোজেক্ট আর থিসিস এর তফাত কি?
- ভাই রিসার্চ কিভাবে করে?
- ভাই আমি তো থিসিস পেলাম না, আমার প্রোজেক্ট করতে হইতেসে, আমার জীবন তো শেষ ভাই?
তো এই সমস্ত প্রশ্ন শুনে আমার মনে হল যে প্রত্যেক কে এভাবে না বলে কেননা একটা ব্লগ পোস্ট লিখে ফেলি। অনেকের ই তো এই সমস্ত ব্যাপারে এখন অনেক কনফিউশন আছে। তাদের ও উপকার হবে। অনেকে আবার কারো সাহায্য নিতে লজ্জা পায় তাদের ও এটা উপকারে আসবে।
মূলত তৃতীয় বর্ষ পার করে চতুর্থ বর্ষে পা রাখার সাথে সাথেই সবার পরিচিতি হয় থিসিস নামক একটি শব্দের সাথে। সাথে থাকে প্রোজেক্ট। তিন বছর এর পড়াশুনায় অন্তত সবাই একবার হলেও প্রোজেক্ট শব্দ টার সাথে পরিচিত, কিন্তু থিসিস জিনিস টা ৯০% ছাত্রের কাছে একদম নতুন। আসলে আমি সকলের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, আমি আসলে এটাই দেখে আসছি যে কাউকে কখনো এটা বুঝিয়ে বলা হয় না এটা কেন করতে হবে? করলে কি লাভ? এটার ভবিষ্যৎ কি? অনেকের ক্ষেত্রেই এই ব্যাপার টা হয়। যেটা মোটেই কাম্য নয়। আমি আশা করছি প্রত্যেকের অন্তত ১% হলেও লাভ হবে আমার এই পোষ্ট টা থেকে।
থিসিস জিনিস টা কি?
থিসিস হচ্ছে মূলত একটি নির্দিষ্ট বিষয় অথবা টপিক এর উপর বিশেষ জ্ঞান অর্জন। তিন বছর ধরে যেই সব বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেছেন সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে একটি টপিক নিয়ে গবেষণা করা। সাধারণত থিসিস ১ বছর এর জন্য করা হয়ে থাকে। সত্যি কথা বলতে গেলে, হুট করে ৬ মাস কিংবা ১ বছরে ভালো কোন কিছু একটা করে ফেলা সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে একজন আন্ডারগ্র্যাডুয়েটের পক্ষে যেখান তার গবেষণা নিয়ে তেমন কোন ধারণা থাকে না। কিন্তু ভালো কোন কাজ না করা গেলেও এর গুরুত্ব অনেক। থিসিস ব্যাপারটা অনেক থিওরিটিকাল। কিছু পড়াশুনা করতে হয় যেই বিষয় নিয়ে একজন কাজ করতে চাচ্ছেন। পাশাপাশি ম্যাথম্যাটিকাল জ্ঞান থাকাটাও কিছুটা দরকার।
থিসিস এবং প্রোজেক্ট এর পার্থক্য টা কি?
মূলত ছাত্রদের কে দুইটা ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়ে থাকে, কেউ থিসিস করে কেউ প্রোজেক্ট করে। অনেকেই প্রোজেক্ট পেয়ে হতাশার সাগরে ডুবে যায়, কারণ অনেকে এটা ধরেই নেয় যে থিসিস অনেক সম্মান এর একটা ব্যাপার। এই ব্যাপার টা হচ্ছে অনেক টা স্কুলের সায়েন্স কমার্স গ্রুপ এ ভাগ করার মতন। অনেক ছাত্র যারা স্কুল এ থাকতে সায়েন্স পেত না তাদের সহ্য করতে হত অনেক কটু কথা। থিসিস প্রোজেক্ট ও অনেকটা এমন ই হয়ে গেসে। কিন্তু ব্যাপার টা মোটেই এমন না। প্রোজেক্ট ততটাই গুরুত্বপূর্ন যতটা থিসিস। থিসিস এবং প্রোজেক্ট একে অন্যের পরিপূরক। ব্যাপার টার বাস্তবধর্মী উদাহরণ হচ্ছে, ধরুন “X” একজন খুব ভালো বিল্ডিং এর স্ত্রাকচার এর ডিজাইনার। সে ভূমিকম্প সহনশীল একটি বিল্ডিং ডিজাইন করেছে। সে বিভিন্ন ম্যাথম্যাটিকাল সিমুলেশন ব্যাবহার করে এই ডিজাইন টা দার করিয়েছে। এখন সে জানে যে তার ডিজাইন টা আসলেই কাজের, কিন্তু সে যদি সুধু মাত্র সবাইকে গিয়ে মডেল এর ছবি দেখিয়ে বলে “এই যে দেখুন আমি ভূমিকম্প সহনীয় একটা বিল্ডিং এর ডিজাইন করেছি” তাতে কি কোন লাভ হচ্ছে? একটা রিসার্চ এর মূল লক্ষ্যই হয় বাস্তব জীবন কে আর সহজ করার। কিন্তু রিসার্চ এর যদি কোন বাস্তবধর্মী রূপ না থাকে সেটির মর্ম কতটুকু? যদি সেই ভূমিকম্প সহনীয় বিল্ডিং টা আসলেই ভালো হয়ে থাকে তাহলে তো সেটাকে বাস্তবধর্মী রূপ দিতে হবে, না হলে তো সেই কাজ টার কোন মর্ম থাকছে না। প্রোজেক্ট আর থিসিস ব্যাপার টা ঠিক এরকম ই । থিসিস হচ্ছে একটা থিওরি দার করানো আর প্রোজেক্ট হচ্ছে সেই থিওরি টাকে বাস্তব এ রূপ দেয়া। বাস্তবধর্মী কিছু করার নাম ই হচ্ছে প্রোজেক্ট। তার মানে এই না যে যারা থিসিস করে তাদের কাজ ঐ থিওরি দেয়ার মদ্ধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা। সেটাকে বাস্তব এ নিয়ে আসা টাও প্রত্যেকের চিন্তায় থাকা উচিত।
তাহলে কি আমি প্রোজেক্ট পেলে আমি কক্ষনো ঐ থিওরি জাতীয় ব্যাপার নিয়ে চিন্তাভাবনা করব না?
প্রোজেক্ট মানে কিন্তু এক ক্ষেত্রে থিসিস ও। আপনি যখন নিজে একটি থিওরি দার করিয়ে সেটিকে বাস্তবধর্মী রূপ দিন, ব্যাস হয়ে গেলো আপনার থিসিস আর প্রোজেক্ট। প্রোজেক্ট পাওয়া মানেই শুধু মাত্র প্রোজেক্ট তা নয়। আপনি কখনো একটা গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নন। আপনার জন্য হাজারো রাস্তা খোলা আছে। আপনাকে কেউ হাত বেধে আটকে রাখেনি।
তো আমার কোনটা করলে ভালো হবে?
আমি এই জিনিস টা সবসময় বিশ্বাস রাখি যে মানুষ সবার মস্তিষ্কের আকৃতি সমান। শুধুমাত্র ব্যাবহারের ক্ষমতা টা সিমাবদ্ধ। নিজেকে কখন কম ভাবা উচিত না কারো থেকে। থিসিস না প্রোজেক্ট এটার সবচাইতে ভালো উত্তর আপনি ই দিতে পারবেন। একমাত্র আপনি জানেন কোন জিনিস টা আপনাকে আগ্রহ দিচ্ছে নিজের ইচ্ছায় করার। জোড় করে মনের বিরুদ্ধে কিছু করাটা একটু বোকামি ই। নিজেকে একটু সময় দিয়ে চিন্তা করুন যে কোনটা আপনার জন্য ভালো। তাড়াহুড়ায় এবং অন্যের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হবেন না। স্রোতের সাথে গা ভাসিয়ে কবেন না. জেতাতে আপনি ভালো সেটাই করার চেষ্টা করুন. কোনটা করলে অন্যরা আপনাকে দাম দিবে সেই চিন্তা করবেন না.
থিসিস করি প্রোজেক্ট করি, এইগুলার মহত্ব কি?
থিসিস প্রোজেক্ট এই জিনিস গুলার মহত্ব শুধুমাত্র একাডেমিক দিক দিয়ে না। থিসিস যদি আপনি ভালো মতন করে একটি পেপার পাবলিশ করতে পারেন সেটি অনেক বড় একটা ব্যাপার হবে। মূলত থিসিস টা সবচাইতে বেশী দরকার হয় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, কারো যদি উচ্চ শিখায় বাইরে যাবার স্বপ্ন থাকে, তাদেরকে থিসিস এ খুব জোড় দেয়া উচিত। একটি পাবলিকেশন আপনার বাইরে যাবার রাস্তাকে অনেক সহজ করে দিতে পারে।
আমি চেষ্টা করব রিসার্চ রিলেটেড আরো কিছু ব্লগ লিখতে যাতে আগ্রহীদের উপকার হয়। ভুল কিছু বলে, করে, লিখে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন. পরবর্র্তী পোস্ট টি হবে তাদের জন্য যাদের ইচ্ছা আছে রিসার্চ এর, কিন্তু কি নিয়ে রিসার্চ করবেন সেটা জানেন না. পোস্ট টি হবে কম্পিউটার সায়েন্স এর কিছু গুরুত্বপূর্ন রিসার্চ টপিক এবং ফিল্ড গুলো নিয়ে.
ধন্যবাদ